নভেম্বরে গণভোটসহ ৫ দাবি
জামায়াত সেক্রেটারির নেতৃত্বে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধিরা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট আয়োজন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনায় পৌঁছেছেন আট ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় পৌঁছায়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সেক্রেটারি মুহা. নিজামুল হকসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যমুনার উদ্দেশে রওনা হলে মৎস্য ভবনের সামনে তাদেরকে সাময়িকভাবে আটকে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিনিধি দল যমুনার দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকেই মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও পল্টন মোড়ে জড়ো হন জামায়াতসহ অন্যান্য ইসলামী দলের কর্মী-সমর্থকরা। বেলা ১১টার পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে তারা পুরানা পল্টনে মিলিত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য শেষে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়।
আরো পড়ুন : নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে উত্তাল পল্টন
এদিকে, এ কর্মসূচি ঘিরে শাহবাগ, কাকরাইল, পল্টনসহ যমুনার আশপাশের এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে।
আট ইসলামী দলের মধ্যে জামায়াত ছাড়া অংশ নেয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
