শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুমের দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগটি গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ সময়ের শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক ঘরানার মানুষদের অপহরণ বা গুমের পর র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলের গোপন স্থানে বন্দি রেখে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনকালীন সময়ে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরো পড়ুন : আইনি পথেই নিষিদ্ধ হতে পারে আওয়ামী লীগ
এই মামলার অন্য তিন আসামি হলেন, বিজিবির আরেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ও হত্যাযজ্ঞ ঘটে। রাজধানীর রামপুরায় এক ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, তখন বিজিবির কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালান, এবং অন্য আসামিরা এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। তদন্ত সংস্থা এরই মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছে।