৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সংকটে পড়া পাঁচ বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করার সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সাধারণ বিনিয়োগকারী শহিদুল ইসলামের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন রিট আবেদনটি করেন।
রিটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সংকটে থাকা পাঁচ ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এসব ব্যাংককে একত্র করে একটি নতুন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনার সিদ্ধান্ত
নতুন ব্যাংকের জন্য দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, ‘ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক’ ও ‘সম্মিলিত ইসলামিক ব্যাংক’। ব্যাংকটি পেশাদারভাবে ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
সরকার আরো জানায়, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাবেন না এবং কোনো আমানতকারীর আমানত ঝুঁকিতে পড়বে না।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ধরা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ ব্যাংকের সকল দায়-দেনা ও সম্পদ গ্রহণ করেই নতুন ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করবে। পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা— যার ১০ হাজার কোটি আসবে নগদে, আর বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ হবে সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে।
সুকুক হলো শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড, যা সুদভিত্তিক বন্ডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আরবি শব্দটি মূলত আইনি দলিল বা চুক্তিপত্রকে নির্দেশ করে।
এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের শেয়ার দিয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা মূলধনে রূপান্তর করা হবে ‘বেইল-ইন’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ভবিষ্যতে রেজল্যুশন পরিকল্পনা অনুসারে এই টাকাই ফেরত দেওয়া হবে আমানতকারীদের। বেইল-ইন অর্থাৎ যখন আমানতকারীর পাওনার একটি অংশ বাতিল হয়ে শেয়ারে রূপান্তরিত হয়।
নতুন ব্যাংকটি প্রথমদিকে সম্পূর্ণরূপে সরকারি মালিকানাধীন থাকবে। পরে পাঁচ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে এর মালিকানা বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, ব্যাংকটি সরকারি মালিকানায় যাওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা কমে আসবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ দ্রুত ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
