মেজর সিনহা হত্যা
ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার আরো ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রকাশ করেন। রায় প্রকাশের পর এখন আসামিরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
এর আগে, চলতি বছরের ২ জুন এই মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও বহাল থাকে।
আরো পড়ুন : ফিরলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জন হলেন, টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ এবং মো. নিজাম উদ্দিন।
মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের দাখিল করা আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয় ২৯ মে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। অভিযুক্ত ছিলেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট ২০২০, নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাব তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। সেই চার্জশিটে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, রুবেল শর্মা, সাগর দেবসহ মোট ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হন। বাকি সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগার থেকে আপিল করেন।
