মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরি ও রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশের ৪৭৬
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৪৭৬ রান। ছবি : সংগৃহীত
মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৪৭৬ রান। ব্যক্তিগত রেকর্ডের পাশাপাশি তাদের জুটিতে ইতিহাসের পাতায়ও নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ৪ উইকেটে ২৯২ রান তুলে দিন শেষ করেছিল। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আগেরদিন ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক পূর্ণ করেন তার সেঞ্চুরি। বিশ্বের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে তিনি নিজের শততম টেস্ট সেঞ্চুরিতে রাঙালেন। তার ২১৪ বলে ৫ চার সমৃদ্ধ ১০৬ রানের ইনিংসের পর লিটন দাসও তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি, থেমেছেন ১২৮ রানে।
এর আগে মুমিনুল হক খেলেন ৬৩ রান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৪৭ রান।
আরো পড়ুন : ইতিহাসে কিংবদন্তিদের কাতারে মুশফিক
বাংলাদেশ ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে মাত্র তৃতীয় দেশ হিসেবে টেস্টের একই ইনিংসে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ে। এর আগে কেবল ভারত (১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) এবং পাকিস্তান (২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) একই কীর্তি গড়েছিল। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মুশফিক-মুমিনুলের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০৭, মুশফিক-লিটনের পঞ্চম উইকেটে ১০৮ এবং লিটন-মিরাজের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৩ রান পায় বাংলাদেশ।
মুশফিক-লিটন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সপ্তমবার একশ’র বেশি রানের জুটি গড়লেন। যার ভিতটা তারা গড়েন গতকাল প্রথম দিনে। দলীয় রানের খাতায় ১৮ রান যোগ করতেই মুশফিককে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ম্যাথু হামপ্রিস। ২১৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫টি চারের সাহায্যে। মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে (মুমিনুলের সঙ্গে) যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩তম সেঞ্চুরি করেছেন। এরপর জুটি গড়েন লিটন-মিরাজ। গত বছরের আগস্টের পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন। গ্যাভিন হোয়ের বলে ক্যাচ তুলে মিরাজের (৪৭) বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি।
এরপর লিটনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন তিনি, হাম্প্রিসের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। ১৯২ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় থামলেন ১২৮ রানে। শেষ দিকে ক্যামিও খেলেছেন এবাদত। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান করে তিনি অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৪৭৬ রানে।
আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেছেন অভিজ্ঞ স্পিনার ম্যাকব্রাইন। এ ছাড়া ম্যাথু হাম্প্রিস ও গ্যাভিন হোয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
