রিমান্ডে শওকত মাহমুদ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
শওকত মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম ফাহমিনা খন্দকার আন্নার আদালত এই আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী জানান, তদন্ত কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ সোমবার শওকত মাহমুদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এদিন শওকত মাহমুদ আদালতে হাজির হন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামাল উদ্দিন মার্জিন, হারুনুর রশীদ ও কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। শওকত মাহমুদ পক্ষে তার আইনজীবী শফিউজ্জামান রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের দাবি জানান।
শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। এর আগে, গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয় শওকত মাহমুদকে।
আরো পড়ুন : মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: স্বামীসহ রিমান্ডে গৃহকর্মী
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শওকত মাহমুদ ও অন্যান্য অজ্ঞাত আসামিরা এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপনে সভা-সমাবেশ ও পরামর্শ করেছেন।
এনায়েত করিম চৌধুরীকে ২০ সেপ্টেম্বর মিন্টো রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের বক্তব্য, তিনি ৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের জন্য কাজ করার পরিকল্পনা করছিলেন। এ মামলায় আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জনতা পার্টি বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে গত ২৫ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ করে, যার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। শওকত মাহমুদকে ২০২৩ সালের ২১ মার্চ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
