খামেনিকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন: ট্রাম্পকে ইরান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

ইরানের মানুষ ট্রাম্পের হুমকি এবং অপমান সহ্য করবেন না। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কথা বলার ধরন ঠিক করতে বলেছে ইরান, বিশেষ করে শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করতে হবে।
তবেই পরমাণু নিয়ে চুক্তি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। অভিযোগ উঠেছে, বার বার ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করছেন।
তেহরান যা বরদাস্ত করবে না। শনিবার (২৮ জুন) সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ট্রাম্পকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরাগচি। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের শক্তিতে ভীত হয়ে ইসরায়েলকে আমেরিকার দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
আরাগচি লিখেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই কোনো চুক্তি চান, তাহলে তাকে আগে ইরানের নেতা খামেনির প্রতি কথা বলার অসম্মানজনক ভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরো লেখেন, ইরানের মানুষ অত্যন্ত শক্তিশালী। সারা বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, ইসরায়েলের সামনে বাবার (আমেরিকা) কাছে ছুটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ওদের গোটা জাতি ধ্বংস করে দিত। ইরানের মানুষ ট্রাম্পের হুমকি এবং অপমান সহ্য করবেন না।
আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের আলোচনার মাঝেই সেখানে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। টানা ১২ দিন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলেছে। গত সপ্তাহে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল আমেরিকাও।
ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তার পরেই ট্রাম্প দাবি করেন, দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধ থেমেছে।
আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘গুরুতর’ ক্ষতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, আমি জানতাম খামেনি ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছেন। কিন্তু আমি ইসরায়েলকে বা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে তাকে মেরে ফেলতে দিইনি।
তাকে আমি একটা কুৎসিত এবং অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। কিন্তু উনি তার জন্য আমাকে কোনও ধন্যবাদ জানাননি!
ট্রাম্প আরো দাবি করেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের চেষ্টা করছেন। তেহরান বহু দিন ধরে যে দাবি করে আসছে। কিন্তু এই চেষ্টার পরিবর্তে ইরান থেকে তিনি কেবল রাগ এবং ঘৃণাভরা বিবৃতি পেয়েছেন।
তাই সাহায্যের চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন। ইরানকে অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এইসব বার্তা ভালো চোখে দেখছে না তেহরান। এর পরই আরাগচি তাকে কথা বলার ধরন ঠিক করতে বলেছেন।
খামেনিকে অসম্মান করা হলে ইরান কখনোই আলোচনার টেবিলে বসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।