ফিলিন্তিনিদের শহর ছাড়ার নির্দেশ
গাজা সিটির একাংশের দখল নিল ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৪ এএম

ইসরায়েলি সেনা অভিযান এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এলাকা দখলের আগ্রাসনে পরিণত হল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু গত ৮ অগস্ট তার মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটিতে পুরো গাজা দখলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বিনা প্রতিবাদে তা গৃহীত হয়েছিল। এবার তেলবাবিবের সেই কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ শুরু করতে দখলদার সেনারা নামল বলে মনে করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনা অভিযান এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এলাকা দখলের আগ্রাসনে পরিণত হল।
বুধবার গাজা সিটির উত্তরাংশের এবাদ-আলরহমান এলাকার দখল নিয়েছে ইসরায়েলি বর্বর সেনারা। অবিলম্বে গাজার রাজধানীর বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে তারা।
বুধবার ইসরায়েলি হামলায় মোট ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন গাজায়। তা ছাড়া, অনাহারে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এবাদ-আলরহমান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে গাজা নগরীর জালা স্ট্রিট অবস্থিত। ওই এলাকাটুকুতে লক্ষাধিক মানুষের বাস ছিল। কিন্তু ইসরায়েল সেনার গুলি এবং মর্টার বর্ষণের জেরে বুধবার থেকেই দলে দলে ফিলিস্তিনিরা দক্ষিণ গাজার দিকে চলে যেতে শুরু করেছেন। নাবলুস শহরেও বুধবার অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল ফৌজ।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে, গাজার বাসিন্দা প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে পাকাপাকি ভাবে আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরিত করতে সক্রিয় হয়েছে ইসরায়েল সরকার।
যদিও বলপ্রয়োগ করে ফিলিস্তিনিদের উৎখাতের অভিযোগ এড়াতে এই পরিকল্পনাকে ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসন’ বলে চিহ্নিত করেছে তেলআবিব।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে গাজা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, সেখানকার ফিলিস্তিনিদের স্থায়ী ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এবার সেই ঘোষণাই কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার।