কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রশাসনের অভিযান

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:১০ এএম

ছবি : ভোরের কাগজ
হবিগঞ্জের সবচেয়ে বড় বালু মহাল কুশিয়ারা নদীর সাদা বালু যাচ্ছে কোথায়, এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল বহুদিন ধরে। বুধবার কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা সটকে পড়লেও প্রশাসনের টিম প্রায় ১৫ হাজার ঘনফুট বালুসহ দুটি নৌকা আটক করে।
প্রশাসন জানায়, সরকারের পরিবর্তনের পর থেকেই কুশিয়ারার সাদা বালু নামে-বেনামে তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ১০–১৫টি স্থানে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হয়, যার বড় অংশ ব্যবহার হচ্ছে ঢাকা–সিলেট ৬ লেন প্রকল্পে। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আর নদীর চরগুলো হয়ে যাচ্ছে বালুশূন্য।
সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাগ ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী এলাকায় প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়া গেলেও বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়। এ সময় মাইকিং করে সতর্ক করা হয় যেন কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন না করে।
আরো পড়ুন : চার দিনে ৪৬ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ, আতঙ্কে টেকনাফের জেলেরা
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু প্রভাবশালী নেতা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিকবার খবর প্রকাশিত হলেও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি সিলেটে সাদা পাথর ইস্যুতে আলোড়নের পর কুশিয়ারার সাদা বালু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে এবং অভিযান শুরু করে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমীন বলেন, সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। তাই তিন ঘণ্টার অভিযানে প্রায় ১৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করি। উত্তোলনকারী নৌকাগুলো পালিয়ে যায়। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।