রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে নতুন করে শুনানির তারিখ নির্ধারণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৮ এএম

সুপ্রিম কোর্ট। ছবি : সংগৃহীত
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে ফের আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে আপিল শুনানির তারিখ আগামী ৪ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। অন্যদিকে, ৬৯ আইনজীবীর পক্ষে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
এর আগে গত ৩০ জুলাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। আর ২৭ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রিভিউ শুনানি শুরু হয়েছিল।
আরো পড়ুন : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা আজ
গত ৯ জানুয়ারি দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন। একইসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ৬৯ জন আইনজীবীও রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানান।
২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রায় দেয় আপিল বিভাগ। এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। ওই রায়ে বলা হয়-
১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা শুরু করতে হবে।
২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অবস্থান হবে সচিবদের সমমর্যাদায়, অর্থাৎ তালিকার ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত হয়ে ১৬ নম্বরে।
৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের অবস্থান হবে জেলা জজদের পরেই, অর্থাৎ ১৭ নম্বরে।
রায়ে আরো স্পষ্ট করা হয়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবলমাত্র রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হবে। নীতি নির্ধারণী বা অন্য কোনো কার্যক্রমে এর ব্যবহার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স, যা ২০০০ সালে সংশোধিত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দিয়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেন।