পাওয়ার ব্যাংকে লুকানো ছিল ১ কোটি ২২ লাখ টাকার স্বর্ণ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যাত্রীদের সাহায্য করার আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানের সময় মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবাদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুভেচ্ছা'র কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাওয়ার ব্যাংকে লুকিয়ে ১১টি স্বর্ণের বার পাচারের চেষ্টা করছিলেন শুভেচ্ছা'র কর্মী মো. রাজু, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালয়ন (এপিবিএন)। জব্দ করা ১১টি স্বর্ণের বারের ওজন এক কেজি ২৭৬ গ্রাম।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, শুভেচ্ছার সিনিয়র কাস্টমার রিপ্রেজেনটেটিভ মো. রাজুর অযাচিত মুভমেন্ট এবং প্রশ্নবিদ্ধ আচরণে সন্দেহ হয় আমাদের গোয়েন্দাদের। রাজুকে ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের কাছে টয়লেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো কিছু বিনিময় করে বলেও সন্দেহ করা হয়।
পরবর্তীতে অ্যারাইভাল কনকোর্স হলের প্রালন করে সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তাকে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি শেষে কালো রং এর পাওয়ার ব্যাংকের ভেতর থেকে ১০ টি এবং রাজুর পকেট থেকে ১টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানান, দুবাই থেকে আসা যাত্রীর কাছ থেকে এসব স্বর্ণের বার নিয়েছেন তিনি। এর বিনিময়ে তাকে খুশি করে দেয়া হবে বলে জানায় পাচারকারীরা।
চক্রের সদস্যরা প্রথমে রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করে, কাজ শেষে তাকে পাওনা বুঝিয়ে খুশি করে দেয়া হবে বলে কথা দেয় তারা।
শুভেচ্ছা কর্মী রাজু লীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মজিবুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ মতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।