জুলাই বিপ্লবগাথা নিয়ে ছাপা হচ্ছে ৪০ কোটি বই

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ এএম

প্রতিটি বইয়েই আছে জুলাই বিপ্লবের ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত
পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হয়েছে জুলাই বিপ্লবের ঘটনা। প্রচ্ছদে গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করার পাশাপাশি বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে একাত্তরে মহান স্বাধীনতার পেছনের সব নায়কের অবদান। আগামীতে আরো বৃহৎ পরিসরে পরিমার্জনের মাধ্যমে পাঠ্যবইকে ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৪০ কোটি ১৬ লাখ নতুন বই ছাপাচ্ছে সরকার। যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭শ ৫০ কোটি টাকা। প্রতিটি বইয়েই আছে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত জুলাই বিপ্লবের ছোঁয়া।
অন্যান্য শ্রেণির মতো তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়েও ‘যত বিপদ তত ঐক্য’ শিরোনামের গ্রাফিতি স্থান পেয়েছে। আর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট গ্রাফিতি। জুলাই বিপ্লবের ঘটনা ও বীরত্বগাথা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বইয়ে গল্প আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এনসিটিবি বলছে, ইতিহাসবিকৃতি থেকে পাঠ্যবইকে মুক্ত রাখতে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ গঠনে অবদান রাখা সবাইকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও তাজউদ্দীন আহমদের অবদান এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আগামী শিক্ষাবর্ষের বইয়ে।
আরো পড়ুন: ৪৭তম বিসিএসের আবেদন স্থগিত
এনসিটিবি চেয়ারম্যান ড. এ কে এম রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘যে গ্রাফিতিগুলো সার্বজনীন আবেদন সৃষ্টি করে, স্বপ্নের কথা বলে সেগুলোকে আমরা বইয়ে রেখেছি। ইংরেজি বইয়ে যেমন গ্রাফিতি নামে একটা আর্টিকেল রয়েছে, তেমনি ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ -- এমন নামে একটি লেখাও পঞ্চম শ্রেণির বইয়ে রেখেছি।’
এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরো বলেন, স্বাধীনতার ঊষালগ্নে মেজর জিয়াউর রহমানের মৃত্যু ও ভয় উপেক্ষা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৬ মার্চ একবার ২৭ মার্চ আরেকবার, সেগুলো বইয়ে আমরা উল্লেখ করেছি। পাশাপাশি ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের জাতিকে প্রস্তুত করেছে, সেটাও বইয়ে থাকছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাক্রম জাতীয় দর্শন অনুযায়ী হবে। সে অনুযায়ী হবে পাঠ্যপুস্তক, যা বছর বছর পরিবর্তন হবে না। গুণগত মানসম্পন্ন কাগজে ছাপাতে হবে, যাতে একই বই আমরা ১০-২০ বছর ব্যবহার করতে পারি। তাহলেই ব্যয় কমে আসবে।’