৩২ নম্বরের বাড়িটি এখন ধ্বংসস্তূপ, কাজ চলছে সমতল করার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ এএম

বাড়িটির অবশিষ্ট অংশও ভাঙার কাজ চলছে। ছবি : সংগৃহীত
রাতভর ভাঙচুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়িটির অবশিষ্ট অংশও ভাঙার কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ক্রেন ও এক্সকেভেটর দিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িটির অবশিষ্ট অংশ ভাঙতে দেখা গেছে। বাড়ির কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতেও দেখা গেছে।
ভাঙচুরে অংশ নেয়া কয়েকজন বলছেন, ভবনের বাকি অংশ ভেকু দিয়ে ভেঙে সমতল না করা পর্যন্ত তাদের কাজ চলবে।
রাতে যারা ছিলেন, তাদের অনেককেই সকালেও বাড়িটির সামনে দেখা গেছে। ফজরের নামাজের পর থেকেও অনেককেই ৩২ নম্বরের বাড়িটির দিকে যেতে দেখা যায়। সেখানে জড়ো হওয়া কয়েকজন বলেছেন, স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন তারা রাখতে চান না। ভবনের বড় অংশ ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস করতেও দেখা গেছে তাদেরকে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের প্রতিবাদে দিনভরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা চলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেক ছাত্র-জনতা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।
আরো পড়ুন : ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি এখন শুধুই ইতিহাস
এদিন বিকেলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধানমন্ডি ৩২ ভাঙার ডাক দেন বিদেশে অবস্থানরত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যও। তিনি লিখেন, ‘থাকবে না ৩২ নাম্বার থাকবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
সন্ধ্যা সাতটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ (বুধবার) রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে। এরপরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাসার সামনে এসে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন তারা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে। সে সময় বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে প্রবেশ মুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে বাড়ির সামনে বুলডোজার আনা হয়।
ভাঙচুরের আগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আজকে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির সামনে ভাষণ দেবে। আমরা এ দেশে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার কোনো অস্তিত্ব রাখব না।’