মেঘনায় উদ্ধার মরদেহটি সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের, জানালেন স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট বিভুরঞ্জন সরকার। ছবি: সংগৃহীত
মুন্সিগঞ্জে মেঘনা নদী থেকে যে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্বজনরা। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন বিভুরঞ্জনের ছেলে ঋত সরকার ও ভাই চিররঞ্জন সরকার।
দৈনিক ‘আজকের পত্রিকায়’ সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন ৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হন বিভুরঞ্জন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ওই দিন রাতে এ কথা জানিয়ে রমনা থানায় জিডি করেছিল পরিবার।
এদিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গজারিয়ার বলাকির চর এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিভুরঞ্জনের মরদেহ উদ্ধার করেন নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ পাঠান বলেন, এদিন বিকেলে বলাকির চর এলাকায় মেঘনা নদীতে মরদেহটি ভাসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা নম্বার ৯৯৯–এর মাধ্যমে আমাদের জানান। আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেটি উদ্ধার করি। সন্ধ্যার দিকে তা ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মরদেহের ছবি তুলে ঢাকার রমনা থানায় পাঠান কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। বিভুরঞ্জনের ছবির সঙ্গে সেটির মিল পেয়ে তার পরিবারকে জানায় পুলিশ। পরে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন বিভুরঞ্জনের ছেলে ঋত সরকার ও ভাই চিররঞ্জন সরকার। পরে মরদেহটি নিখোঁজ সাংবাদিকের বলে শনাক্ত করেন তারা।
ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ‘খোলা চিঠি’ শিরোনামে বিভুরঞ্জনের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ২১ আগস্ট সকাল সোয়া ৯টায় চিঠিটি তাদের মেইল করেছিলেন তিনি। ‘জীবনের শেষ লেখা হিসেবে এটা ছাপতে পারেন’ ফুটনোট দেয়া ওই লেখায় দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ নানা ঘটনা, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও গণমাধ্যম পরিস্থিতি, নিজের ও ছেলের অসুস্থতা, মেডিকেল পাস সরকারি কর্মকর্তা মেয়ের উচ্চতর পরীক্ষায় ‘ফেল করা’, বুয়েটে থেকে পাস করা ছেলের ‘চাকরি না হওয়া’ এবং নিজের আর্থিক দৈন্য নিয়ে হতাশার কথা উল্লেখ করেন সাংবাদিক বিভুরঞ্জন।