প্রথম আলো–ডেইলি স্টারে হামলা, গ্রেপ্তার ৯
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার, পাশাপাশি দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা হলেন— মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম।
এ ছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছে, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের নিকটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায়ও ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র এবং বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
শেরপুর জেলার বাসিন্দা রাকিব হোসেনকে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে। তার ফেসবুক আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয় এবং তিনি উসকানিমূলক পোস্টও দিয়েছিলেন।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছিলেন। ওই টাকা দিয়ে তিনি মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনেন, যা পরে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার একাধিক থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
