দীপু হত্যার মতো আরো অনেক ঘটনার শঙ্কা সিইসির
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে সংঘটিত দীপু চন্দ্র দাশ হত্যাকাণ্ডের মতো আরো সহিংস ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), সব রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিইসি।
সভায় সিইসি বলেন, ময়মনসিংহে একজন হিন্দু নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আরো ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এসব ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দীপু চন্দ্র দাশকে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। পরে তাকে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। পরবর্তীতে র্যাব জানায়, দীপু কোথায় ও কখন ধর্ম অবমাননা করেছেন—এর কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
আরো পড়ুন : দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের আশ্বাসের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তাদের বক্তব্য শুনে তিনি আশাবাদী হয়েছেন। সিইসি বলেন, আমার একমাত্র এজেন্ডা দেশ ও জাতির স্বার্থ। আপনাদের সহযোগিতা পেলে সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করা যাবে না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আইন থাকলে এখনই ঘোষণা দিতেন যে এই দুই পদে দায়িত্ব পালনকারীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ভিভিআইপি হিসেবে বিবেচিত।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ টেনে প্রার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর, কিন্তু পোস্টার অপসারণের উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আচরণবিধি মানার বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া অভিযোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সিইসি বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন কার্যত অভিযোগ গ্রহণের দপ্তরে পরিণত হয়েছে। জনগণকে জানাতে হবে কোথায় এবং কীভাবে অভিযোগ জানাতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র স্থাপন করে সেখান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ পাঠানোর ব্যবস্থার কথা জানান তিনি।
