ঝুমনের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:২৮ এএম

সন্তানসহ ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি বেগম
ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ঝুমন দাসের জামিন আবেদন আবারো নামঞ্জুর হয়েছে আদালতে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দুদফায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলো।
গতকাল সোমবার সকালে দ্বিতীয় বারের মতো জামিন আবেদন করেন ঝুমনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালত প্রথমবার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে সোমবার আবার আদালতে জামিন চাইলে সেটাও নামঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ জাকিয়া পারভীন। তবে এ সময় অভিযুক্ত ঝুমন দাসকে আদালতে তোলা হয়নি। জামিন শুনানিকালে তিনি কারাগারে ছিলেন।
ঝুমন দাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার বলেন, আমরা এর আগেও একবার জামিন চেয়ে পাইনি। তখন আমল গ্রহণকারী আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। তাই সোমবার জজ আদালতে জামিন চাই। এই আদালতও ফের জামিন নামঞ্জুর করেন। এখন বাকি থাকল উচ্চ আদালত। আমরা সেখানেও যাব।
ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি বেগম বলেন, ঝুমনের জামিন চেয়ে আমাদের করা আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। আমি আমাদের আইনজীবীর কাছে যাচ্ছি। ওনার সঙ্গে পরামর্শ করে উচ্চ আদালতে জামিন চাইব। আশা করি উচ্চ আদালত আমাদের ফিরিয়ে দেবেন না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত’ সমাবেশে তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আসার পর দিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস।
এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে হেফাজত ইসলামের স্থানীয় সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁওয়ে শতাধিক হিন্দু বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। যা সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। উস্কানিমূলক স্ট্যাটাসের দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রায় ৭ মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হন ঝুমন দাস।
জামিনে মুক্তির শেষ সময়ে এসে ফের গত ২৮ আগস্ট ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার অপরাধে ৩০ আগস্ট দুপুরে শাল্লা থানা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পোস্ট দেয়ার বিষয় স্বীকার করলে রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে, সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।