মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম

মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: ভোরের কাগজ
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার ও অনতিবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেন, মাহমুদুর রহমান প্রথম ব্যক্তি যিনি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলে প্রথমে কলাম লিখেছিলেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম আইকন বেগম খালেদা জিয়ার কথা বললে অনেক শাহবাগীদের বুকে আগুন জ্বলে। আর সেই খালেদা জিয়ার পর কোনো ফ্যাসিবাদবিরোধী একক ব্যক্তিত্ব সংগ্রামী মাহমুমুদর রহমান। ৬৫ বছর বয়সে একটানা ৩৯ দিন রিমান্ডে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
সাংবাদিক নামের দালালরা যখন সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে একজন মাহমুদুর রহমান তখন বীরদর্পে দেশে প্রবেশ করেছেন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, অনেকে বলছেন মাহামুদুর রহমান কেন আদালতে জামিন চান নাই? এই প্রশ্নের জবাবে বলব, রাজনৈতিক প্রশ্নে যারা আইন নিয়ে আসে তাদের মতো আর কোনো বেকুব নাই। ফেসিস্টদের আইন ভঙ্গের উপর আর কোনো আইন নাই। ২৪'র আন্দোলন কোন আইনের ভিত্তিতে করেছেন? মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। তিনি বলেছেন অবৈধ সুবিধা নিলে ফ্যাসিস্ট সরকার তার পরিবার ব্যবসা ধ্বংস করে দিতো না এবং তিনি ছাত্র-জনতার এই সরকারের কাছ থেকেও নিবেন না বলে জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন: ইসলামি বক্তা তাহেরীর গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর
তিনি আরো বলেন, সরকার যেই মামলা করে সেই মামলা তুলে নিতে সরকারের এক মিনিট সময়ও লাগে না। তাই আমরা চাই আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আইন উপদেষ্টা নিজে উদ্যোগ নিয়ে যতগুলো মামলা তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে সবগুলো বাতিল করে এবং শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু আদালত যতগুলো রায় দিয়েছে সবগুলো বাতিল করা হোক। নয়তো আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান হাদী।
মানববন্ধনে আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জায়েদ চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচাররের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমান সবসময় স্বেচ্ছার এবং আইন মান্যকারী একজন ব্যক্তি। আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশ করতে দেশে ফিরে এসেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলার কারণে আবার তাকে জেলে পাঠানো হয়। তিনি আইন মান্য করে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু আদালত তাকে মুক্তি না দিয়ে জেলে পাঠায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর যেখানে অনেক সাধারণ মানুষ নিঃশর্ত মুক্তি পাচ্ছে। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলায় এটা কাম্য নয়।
তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিক সমাজ ৪৮ ঘন্টা সময় দিলাম সরকারকে। তাকে না ছাড়া হলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমার মুক্ত করবো তাকে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মুজাহিদ ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য ও ঢাবি শিক্ষার্থী ফাতিমা তাসনিম ঝুমা, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ।