চাঁদাবাজি ও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ কম: রিজভী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। কিন্তু সরকার চাঁদাবাজি বন্ধ ও নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পারছে না।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।
তিনি বলেন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজ, তাদের ধরুন। অনেক সময় পুলিশ খাদ্যপণ্যের গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা এটা বলিনি যে, সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না। মানুষকে এই পরিস্থিতি যদি আগের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারে, তাহলে মানুষ হতাশ হবে। খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। জাতীয়তাবাদী কৃষক দল শাক-সবজি নিজেরা কিনে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে। এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য। দুর্গম চরে কৃষককে শস্য উৎপাদনেও সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যখন গণতন্ত্র ছিল না, তখন আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার লাল চক্ষু উপেক্ষা করে বিশেষ করে তার প্রশাসনের সামনে বুকে সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে। তাদের অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন, অনেকে মৃত্যু বরণ করেছেন। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কৃষক দল কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ছেলেরা যদি কৃষকের জন্য কাজ করে সেই কৃষির উন্নয়ন দ্রুত হবে। মানুষ যেন অনাহারে না থাকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এটাই তাদের কাজ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। কেউ হুমকিতে থাকবে না। কিন্তু আপনারা যদি প্রশাসনে শেখ হাসিনার দোসরদের যদি লালনপালন করেন। আপনি নারায়ণগঞ্জে এসপি যিনি যুবদলের শাওন হত্যায় জড়িত। সেই এসপিকে যদি ডিসি হেডকোয়ার্টার বানান। তাহলে আপনি সমাজ থেকে কীভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন। কীভাবে খুনোখুনি বন্ধ করবেন। কীভাবে হানাহানি বন্ধ করবেন। আপনাকে সুফি হওয়ার দরকার নেই। সাধক হওয়ার দরকার নেই। আপনি দেখুন কে অন্যায় করছে। তাকে গ্রেপ্তার করুন, আইনের আওতায় আনুন।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।