নারী রোগীকে অজ্ঞান করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, ৩ জন কারাগারে

পলাশ হোসেন, পাবনা
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ পিএম

গ্রেপ্তার তিন যুবক। ছবি : ভোরের কাগজ
পাবনার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসার নামে এক নারী রোগীকে অজ্ঞান করে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে। এ সময় হাসপাতালের ভেতরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় জনতা ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাসপাতাল স্টাফদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, ডিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের মো. রেজাউল করিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৪), ভাঙ্গুরা উপজেলার ভেড়ামারা গ্রামের মো. আ. মান্নানের ছেলে আবুল হোসাইন (৩০), এবং পাবনা সদর উপজেলার চকপৈলানপুর নয়নামতি এলাকার মৃত নুরুল আহসান মোস্তাকিন বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাকিন বিশ্বাস (৩৭)।
আরো পড়ুন : ৪ জেলায় ২২ মাসে নদীতে মিলেছে ৭৩ মরদেহ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে চিকিৎসার সময় এক নারী রোগীকে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরে এক পুরুষ স্টাফ তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে রোগীর জ্ঞান ফিরে আসে এবং তিনি ওই স্টাফের হাত চেপে ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রোগীর স্বজনরা বিষয়টি জানতে পারলে হাসপাতালের ভেতরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রোগীর স্বজনদের ভয়ভীতি দেখায়। পুলিশে খবর দিতে চাইলে হাসপাতালের কিছু ভাড়াটে মাস্তান (স্টাফ) উল্টো স্বজনদের ওপর চড়াও হয়। এতে ক্ষুব্ধ জনতা ও কলেজ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালটিতে ভাঙচুর চালায়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, শনিবার রাতে পাবনার সেন্ট্রাল হাসপাতালে নারী রোগীকে অজ্ঞান করে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। তিনজনকে আটক করে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।