পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ দিনদিন আরো বাড়ছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা তেঁতুলিয়াসহ পুরো জেলায় শীতের অনুভূতি তীব্র করে তুলেছে।

টানা কয়েকদিন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ওঠানামার পর মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন।

আরো পড়ুন :  কুড়িগ্রামে শীতের দাপট, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি

একই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ, যা শীতের প্রভাবকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সকাল ৭টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া কুয়াশার ঘন চাদরে ঢাকা ছিল। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় রাস্তায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে তেঁতুলিয়া–পঞ্চগড় সড়কে যান চলাচলের গতি ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক ধীর।

এর আগের দিন সোমবার (১ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি। তার আগের কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ থেকে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করেছে। দিনে রোদ থাকলেও ভোর ও সকালের ঠান্ডা বাতাস শীতকে আরো প্রকট করে তুলছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়ায় প্রতিদিনই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল, আজ তা কমে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে নেমেছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এভাবে শীত নামা মানে সামনে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।

চাকলাহাট এলাকার এক অটোচালক জানান, ভোরে রাস্তায় নামলেই হাত–পা ঠান্ডায় অবশ হয়ে আসে। কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না, হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব ধীরে চালাতে হয়। শীতের কারণে আগের মতো যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না, আয় কমে গেছে।