যে কারণে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চান আহমাদিনেজাদ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইরানে। আগামী ২৮ জুন ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে তিনি রাজধানী তেহরানের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ইরানের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এক ভিডিও বার্তায় আহমাদিনেজাদ বলেছেন, পরিবর্তনগুলো খুব ঘন ঘন হচ্ছে। এটা শুধু ইরান নয়, সারা বিশ্বেই। আমি আশা করি, আমরা শিগগিরই সুন্দর পরিবর্তন দেখতে পাব।
ইরানের বর্তমান পার্লামেন্টে আহমাদিনেজাদের বেশ কিছু সমর্থক রয়েছেন। তারা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আহমাদিনেজাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, ইরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে আহমাদিনেজাদ অন্যতম।
ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজ অঞ্চলের প্রতিনিধি আহমাদ আলীরেজা বেইগি বলেছেন, আহমাদিনেজাদকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতার অনুমোদন দেবে। কারণ, তিনি যদি প্রার্থী হন এবং এই প্রার্থিতাও যদি বাতিল হয়ে যায়, তবে এটি খুব বাজে পরিণতি নিয়ে আসবে।
গত সপ্তাহে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটিতে আগামী ২৮ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট পদ ফাঁকা হওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আহমাদিনেজাদের এ সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছে তার সমর্থকরা। তাদের দাবি, তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
ইরানের তাবরিজের পার্লামেন্ট সদস্য আহমেদ আলিরেজা বেগি বলেন, যদি নির্বাচনে আহমাদিনেজাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে তিনি বিজয়ী হবেন। অতীতের নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। দেশটিতে ২০১৭ এবং ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল।
আলিরেজা বেগি বলেন, আহমাদিনেজাদকে নিশ্চিত করতে হবে যে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতার অনুমোদন করবে। কেননা তিনি প্রার্থী হওয়ার পর তা বাতিল হলে এর পরিণাম আরও ভয়াবহ হবে।
২০১৭ সালে আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি পুরো কাঠামোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিরও সমালোচনা করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নীরব ছিলেন।