শুকনো খাবার ছাড়া কিছুই পাইনি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১১:১৮ এএম
উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টি হলে আবার বন্যার পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় রয়েছেন বানবাসী মানুষ। বন্যার পানি ধীরগতিতে কমলেও কমছে না বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। বাড়ি-ঘর, গ্রামীণ রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। তবে হাকালুকি হাওর পারের গ্রামগুলোতে এখনো পানি রয়েছে। বানভাসিদের অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অথবা উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন। জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পবিত্র ঈদুল আযহার দিন ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অর্ধলক্ষাদিকের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৬৫ থেকে ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসিরা শুকনো খাবার ছাড়া কিছুই পাননি। জুড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জুড়ীতে ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যার্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন পর্যন্ত বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।