৮ দাবিতে বান্দরবানে হরতালের ডাক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন আইন বাতিলসহ আট দফা দাবিতে বান্দরবানে ১৩ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে ‘পার্বত্য নাগরিক পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে জেলার একটি হোটেলের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আট দাবি তুলে ধরে মজিবর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে বাঙালি সম্প্রদায় যুগের পর যুগ ধরে নানা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকারের বাইরে রাখা হয়েছে। বাঙালিদের ন্যায্য ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : মন্দার কবলে অর্থনীতি: বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে বিপর্যয়
আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. ব্রিটিশ আমলে প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ শাসনবিধি-১৯০০ সালের পার্বত্য রেগুলেশন অ্যাক্ট বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসন ব্যবস্থা চালু করা।
২. জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে রাজার সনদ ব্যবস্থা বাতিল করা।
৩. অন্যান্য জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জমি ক্রয়-বিক্রয় ও ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা।
৪. বাজার ফান্ড পুটের লিজ মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীত করা এবং বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করা।
৫. উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করা।
৬. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাহার করা ২৪৬টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা।
৭. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
৮. শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর বলেন, এসব দাবির প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে সরকারি অফিস-আদালত, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যানবাহন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ পরিবহনের গাড়ি হরতালের আওতার বাইরে থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।