আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ২০ বাড়িঘরে ভাঙচুর, আহত ৮

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেয়া দুই নেতার বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান এ তথ্য জানান।
কানাইপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফুসরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একপক্ষের নেতৃত্ব দেন আক্কাস মাতুব্বর। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সভাপতি হাসেম খান।
এলাকাাসী জানান, রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এলাকার এক পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়। এদিন সকালে হাসেম খানের সমর্থকরা কয়েকশ লোক নিয়ে আক্কাস মাতুব্বরের বাড়িসহ সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করেন। তার ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে আক্কাসের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে হাসেমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
পরে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, আক্কাস ও হাসেমের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। এর জেরে এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বর বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশের মধ্যস্থতায় আমরা সংঘর্ষে লিপ্ত হব না বলে কথা দিয়েছিলাম । আমি তা মেনে নিলেও হাসেম খান মানেননি। তার সমর্থকরা িএদিন সকালে অতর্কিত আমার বাড়িসহ সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও গরু ছাগল লুটপাট করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা হাসেম খান বলেন, আক্কাসের সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করেছেন।
ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।