ঢাবির এফ আর হল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বাকি ১৭ লাখ

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:১২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ১৭ লক্ষ টাকা বাকি খেয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এরমধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন দুজন মিলে ক্যান্টিনে বাকি খেয়েছেন পৌনে ৬ লাখ টাকার মতো। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এ এফ রহমান হলে ক্যান্টিনের মালিক ছাত্রলীগ নেতাদের এই বাকির তালিকা প্রকাশ করে।
প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ একই বাকি খেয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আর সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন খেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন হল শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী আলী আহসান রিফাত। তিনি বাকি খেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানেন অনুসারী বলে জানা গেছে। এছাড়াও তালিকায় সবমিলিয়ে ৪৮ জনের বাকির হিসেব প্রকাশ করা হয়।
তালিকা অনুযায়ী ছাত্রলীগ নেতা ৩১৬ নং রুমের উচ্ছল ৮৫ হাজার, ৪০৯ নং রুমের রবি ১ লাখ ১৮ হাজার, ৩১৭নং রুমের সাজু ১২ হাজার,৩০৬ নং রুমের নাহিদ ১ লাখ ১৫ হাজার, ২২০ নং রুমের জুয়েল ১ লাখ ১৫ হাজার এবং একই রুমের ছাত্রলীগ নেতা কাজল ৭০ হাজার, ২২২ নং রুমের শুভ ১৭ হাজার, ২১৮ নং রুমের ইমরান ৩ হাজার, ৪০৫ নং রুমের লালন ৪ হাজার পাঁচশ, ২১৬ নং রুমের আলিফ ১২ হাজার, ২২১ নং রুমের বাপ্পি ১৮ হাজার টাকা, ২১২ নং রুমের হৃদয় ৩ হাজার, ২১০ নং রুমের হারুন ৭০ হাজার, ২০৫ নং রুমের হাবির ৩ হাজার, ৩১৯ নং রুমের নুহাশ ৩ হাজার, ৩২১ নং রুমের রাহিম সরকার ৫৫ হাজার, ৩১৪ নং রুমের আবদুল আলীম ৬০ হাজার,৩২০ নং রুমের জাওয়াদ ১০ হাজার, ৪০২ নং রুমের তানজিদ আলামিন ৫ হাজার, ৩২২নং রুমের সিফাত ২ হাজার টাকা, ৩০৮ নং রুমের এমরান ২৫০০, ২০৭নং রুমের লাভলু ৩ হাজার, ৩১৫ নং রুমের আফসার ৪৫ হাজার টাকা এবং শাহাদাত ৩হাজার টাকা, ৫১৫ নং রুমের শাহাদাত ১৫ হাজার, ৫১৬ নং রুমে জাহিদ ৩ হাজার, ৩১৪ নং রুমে সাব্বির ৩ হাজার, ৩১১ নং রুমের বায়জিদ ৪৫ হাজার, ৩২২ নং রুমের বায়জিদ ২০০০, ৫১৪ নং রুমের নাজমুল ৩৫ হাজার, ৩১৪ নং রুমের আসিফ ৩ হাজার, ৪১৭ নং রুমের সিরাজ ৪ হাজার এবং রাজু ৬১ হাজার, ৩১৪ নং রুমের অটল ৪ হাজার, ৫২১ নং রুমের লাভলু ৪৮ হাজার টাকা, ৫০১ নম্বর রুমের ২৫০০ টাকা,৩১৮ নং রুমের মেহেদী ৩৫০০ টাকা,২২২ নং রুমের বাঁধন ৮ হাজার, ৩১৯ নং রুমের শ্যামল ৩০০০, ৫১৬ নং রুমের হাতিম ৫ হাজার, ২১৯ নং রুমের কাব্য ২০০০ এবং সৌরভ ৫ হাজার, ৪১৯ নং রুমের হাসান ৪০০০, ৩১৮ নং রুমের মিজান ৩০০০ টাকা বাকি খেয়েছে।
এ বিষয়ে ক্যান্টিন মালিক বাবুল বলেন, ছাত্রলীগের বিগত দুই কমিটির সময় ধরে তারা বাকি খেয়ে আসছে আমার ক্যান্টিনে। প্রত্যেকদিন এ হলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের খাবার রুমে দিয়ে আসা লাগে। প্রতিদিন তারা দুজনকে ২০ প্লেট করে খাবার দেওয়া লাগতো। তারা খাতায় বাকি লিখতে দেয় না। তাদের কারণেই আমরা চাইলেও খাবারের মান ভালো করতে পারে না। টাকা গুলো আর কখনো হয়ত ফেরত পাবো না।