‘মার্চ টু যমুনা’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম

দাবি না মানলে ‘মার্চ টু যমুনা’-র ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ছবি : সংগৃহীত
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা, মেডিকেল ভাতা ১,৫০০ টাকা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হলে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তারা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা যায়, কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী স্লোগান দিচ্ছেন, “২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিতে হবে”, “বাংলার শিক্ষক, এক হও এক হও”, “শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন, মানি না মানি না।”
আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি পূরণে সরকার সাড়া না দিলে আজই তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করবেন। আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে তারা ইতোমধ্যে ‘মার্চ টু যমুনা’ বাস্তবায়নের আয়োজন শুরু করেছেন।
এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের বাড়ি ভাতা ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে জানান এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব আবুল বাশার। তবে শিক্ষকরা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, একে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ বলে অভিহিত করেছেন।
আরো পড়ুন : এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ
তারা জানিয়েছেন, ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।
গত সোমবার থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে স্কুল–কলেজের ক্লাস কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে সংঘর্ষ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এরপর থেকে টানা কয়েক দিন ধরে শিক্ষকরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সরকার প্রজ্ঞাপন না দেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।