ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য আজ, হবে সরাসরি সম্প্রচার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৪ এএম

ছবি : সংগৃহীত
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে রবিবার (৩ আগস্ট)।
একইসঙ্গে মামলার প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে সংবাদমাধ্যমগুলো।
এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন এবং সত্য প্রকাশের শর্তে তার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
গত ১০ জুলাই এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আরো পড়ুন : আন্দোলনে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে মরদেহ কবর থেকে তোলা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেদিন মামলার শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ছিলেন। পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন শুনানি করেন। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত থেকে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি আদালতকে জানান, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় যেসব হত্যা ও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার সব তথ্য-প্রমাণ আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে চান তিনি।
এর আগে গত ১ জুলাই মামলায় অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি সম্পন্ন হয়। এরপর ১ জুন ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় এবং শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গত ১৭ জুন পলাতক অবস্থায় থাকা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের জন্য ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, তারা ৭ দিনের মধ্যে হাজির না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে।
সবশেষে, আজকের শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ঘিরে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্য প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।