বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ষষ্ঠদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বুধবার (২০ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষের আনা ১৩তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) মামলার পঞ্চমদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ট্রাইব্যুনাল দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আরো পড়ুন : শেখ হাসিনা ও কামালসহ ৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে, এর মধ্যে বিরতিও ছিল। ওইদিন মোট তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।

তাদের জবানবন্দিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

জবানবন্দি শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।

এ পর্যন্ত মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৭ আগস্ট আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, নাঈম শিকদার ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম জবানবন্দি দেন। এর আগে ৬ আগস্ট রিনা মুর্মু ও একেএম মঈনুল হক, ৪ আগস্ট পঙ্গু শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর পারভীন, আর ৩ আগস্ট প্রথম সাক্ষী হিসেবে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ সাক্ষ্য দেন।

এরও আগে গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।

প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনেছে। আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে তথ্যসূত্র, দালিলিক প্রমাণ, জব্দ তালিকা ও শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৮১ জন।