×

আইন-বিচার

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও সেনা-বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও সেনা-বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে, রায় ঘোষণার পরদিনও ট্রাইব্যুনাল চত্বর ও আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা জারি রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, সারাদিন এভাবেই কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রবেশপথগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা ও বিজিবির বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। পথচারী থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও আইনজীবী সবার পরিচয় যাচাই করে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন : শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো

সুপ্রিম কোর্টের ভেতর ও বাইরেও কড়া নজরদারি চলছে। সাধারণ মানুষের চলাচলও নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, রায়-পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন সদস্যের প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পাঁচটি অভিযোগ জমা দিলেও ট্রাইব্যুনাল রায়ে দুটি অভিযোগের ছয়টি ঘটনা তুলে ধরে। এর মধ্যে অভিযোগ-১ এ তিনটি ঘটনা আনা হয়। এর প্রথমটি ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া।

দ্বিতীয়ত ওই রাতে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে ফাঁসি দেবেন বলে উসকানি ও আদেশ। এছাড়া অপরাধ সংঘটনে আসামিরা নিজেদের অধীনস্তদের কোনো বাধা দেননি। তৃতীয়ত এরই ফলশ্রুতিতে রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি ছুড়ে হত্যা করে পুলিশ। এসব অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

দুই নম্বর অভিযোগেও তিনটি ঘটনা আনেন ট্রাইব্যুনাল। এক নম্বর ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপ পাওয়া যায়। এসব কথপোকথনে ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ অপরাধ সংঘটনে অধীনস্তদের কোনো বাধা দেননি আসামিরা।

যার ফলশ্রুতিতে একই বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। যা এ অভিযোগে ঘটনা নম্বর দুই। তিন নম্বর ঘটনা ওই দিন তথা ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব অপরাধে শেখ হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যা জুলাইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করবে সরকার। এছাড়া উভয় অভিযোগে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

যে কারণে মুশফিককে ‘কিংবদন্তি’ বললেন ফিল সিমন্স

যে কারণে মুশফিককে ‘কিংবদন্তি’ বললেন ফিল সিমন্স

এবার সংসদ নির্বাচনে ভোটার কত, জানালেন ইসি সচিব

এবার সংসদ নির্বাচনে ভোটার কত, জানালেন ইসি সচিব

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত

৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App