সব হত্যার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকে নিতে হবে: নানক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
-66af94cadb8d0.jpg)
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: সংগৃহীত
সরকার পতনের এক দফা দাবি ক্ষমতা-লিপ্সু বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এরইমধ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের পাড়ায়-মহল্লায় কঠিন প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও সব হত্যা, সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে।
রবিবার (৪ আগস্ট) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নানক এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই। দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবেন না, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করবেন না। সবাইকে এখন দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
যারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করেছে তারা শিক্ষার্থী নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্র শিবির ও জঙ্গি গোষ্ঠীর ক্যাডাররা সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আমরা অভিভাবকদের আহ্বান জানাই-এই সন্ত্রাসীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনাদের সন্তানদের ঘরে রাখুন। যারা রাস্তায় আছে, তাদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করছি।
ছাত্র সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র সমাজের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী গণবভণের দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন। সরকার তাদের বক্তব্য শোনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ছাত্র সমাজের কাঁধে বন্দুক রেখে সরকারকে হটিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র দেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-আপামর জনগণ মেনে নেবে না।
বিএনপি জামায়াতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শেষ কথা বলতে চাই, আমরা এই দেশ মাতৃকাকে ভালোবেসে ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়ার পরেও আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন, কোটা নিয়ে আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদের ধৈর্য ধারণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বারবার আহ্বান জানিয়েছেন। পরে সরকারের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন। কোটা নিয়ে ছাত্র সমাজের যে দাবি ছিল, তার চেয়েও বেশি পূরণ হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হওয়ার পরেও বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্র শিবির সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে উল্লেখ করে নানক। তিনি বলেন, ‘সবাইকে গণতন্ত্র, সংবিধান ও জান-মালের নিরাপত্তার জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, আজ সকালে এই সন্ত্রাসীরা বিনা কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কেও রেহাই দেয়নি। তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। হাসপাতালে মানবতাবিরোধী এই হামলা দিয়েই প্রমাণিত হয়, তারা শিক্ষার্থী নয়। আজকে যারা সহিংসতা করেছে তারা শিক্ষার্থী না।’
আরো পড়ুন: ৩ দিন ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।