যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী হারমিত কে ধিলোঁকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে মানবাধিকার সম্পর্কিত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন এবং তার কর্মজীবন তাকে দেশের আইন ও রাজনৈতিক পরিসরে এক বিশিষ্ট অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

ধিলোঁর ট্রাম্পের নির্বাচনী দলে যোগদান এক ঐতিহাসিক ঘটনা, কারণ এটি মার্কিন রাজনীতিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উত্থানকে চিহ্নিত করে। তার কর্মজীবন প্রমাণ করে যে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রের আইনি এবং রাজনৈতিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এবং দেশটির উন্নয়নে তাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাম্পের টিমে ধিলোঁ যোগ দেয়ার মাধ্যমে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্যদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে, যা ট্রাম্পের ভারতীয় কমিউনিটির প্রতি আস্থা ও সমর্থনের একটি বড় প্রমাণ। এটি ট্রাম্পের রাজনৈতিক ও আইনি টিমে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বহু ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবার ধিলোঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো।

ধিলোঁর নিয়োগের ফলে ট্রাম্পের মানবাধিকার নীতি ও পদক্ষেপ আরো শক্তিশালী হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। নাগরিক অধিকার, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার অভিজ্ঞতা ট্রাম্প প্রশাসনকে সহায়তা করবে এবং এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আইনজীবী ধিলোঁর পথচলা

হারমিত কে ধিলোঁ আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং একজন সফল প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ‘ধিলোঁ ল গ্রুপ’ এবং ‘সেন্টার ফর আমেরিকান লিবার্টি’ নামে দুটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সাংবিধানিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষায় নিবেদিত। 

ধিলোঁ ব্যক্তিগতভাবে দেশের নাগরিক অধিকার ও আইনি সুরক্ষা বিষয়ে গভীর আগ্রহী। তিনি প্রায়ই সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। একজন সৃজনশীল আইনি চিন্তাবিদ হিসেবে তার নাম পরিচিত, এবং তার নেতৃত্বে ‘ধিলোঁ ল গ্রুপ’ বেশ কয়েকটি উচ্চ-প্রোফাইল কোর্ট কেসে সফলভাবে পেশাগত কৌশল প্রয়োগ করেছে। বিশেষ করে মার্কিন সংবিধানের অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তার কৌশল ছিল অত্যন্ত সফল।

তাছাড়া, ‘সেন্টার ফর আমেরিকান লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ধিলোঁ নাগরিক অধিকার এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার এই উদ্যোগগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আইনি এবং রাজনৈতিক পরিসরে মানবাধিকার সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।