চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা এলাকায় ছাত্রশিবিরের সঙ্গে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে চকবাজার থানা এলাকা ও আশপাশে।

সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রাত ১টার দিকে দুই পক্ষ আলাদাভাবে অবস্থান নিয়ে থেমে থেমে স্লোগান দিয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে থেকে উভয়পক্ষকে শান্ত করতে কাজ করছেন।

এ ঘটনার পেছনে শিবির নেতাকর্মীদের দাবি, কয়েকদিন আগে যুবদলের কয়েকজন অনুসারী চাঁদাবাজির চেষ্টা করলে চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ শাখা শিবিরের নেতা আরিফসহ কয়েকজন তা প্রতিহত করে এবং অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ করে। এরই জেরে আরিফকে একা পেয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে শিবিরের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়াতে থানায় ছুটে যায়।

আরো পড়ুন : বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

অন্যদিকে ছাত্রদলের দাবি, ছাত্রলীগের একজনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছিল এবং শিবির নেতাকর্মীরা সেই ব্যক্তিকে ছাড়াতে থানায় গেলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক ছাত্রকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা উভয়পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।

চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শিবিরের প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক অভিযোগ করেন, চকবাজারে ছাত্রদল-যুবদলের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের শিবিরপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

মহানগর উত্তর শাখা শিবিরের সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল বলেন, আমাদের কর্মী আরিফুল ইসলামকে মারধর করে থানায় দিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আমরা থানায় গেলে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে আমাদের কর্মীদের ওপর আবারও হামলা হয়।

এ বিষয়ে নগর ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি তখন থানায় বৈঠকে রয়েছেন।