এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার ভিডিও ফাঁস!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২০ এএম

এনসিপির চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধের শর্তে পাঁচ লাখ টাকা নেওয়ার কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) দেড় মিনিটের ভিডিওটি ফাঁস হয়। এতে দেখা যায়, আফতাব হোসেন রিফাত নামে এক ব্যক্তি মেসেঞ্জারে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলছেন, যা অন্য একটি ফোনে ভিডিও করা হয়েছে। কথোপকথনে আন্দোলন বন্ধের বিনিময়ে টাকা নেওয়া ও আরো অর্থ দাবি করার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
ভিডিওতে শুরুতে আফতাব জানতে চান, ‘যদি মীর ভাইয়েরা আন্দোলন বন্ধ না করে তখন কী করব?’ জবাবে নিজাম বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে?’ আফতাব বলেন, ‘হ্যাঁ ভাই।’ এরপর নিজাম প্রশ্ন করেন, ‘কত দিয়েছে, কত লাখ?’ আফতাব জানান, ‘পাঁচ।’ তখন নিজাম বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করার জন্য।’ আফতাবও সম্মতি দেন। পরে নিজাম আরো পাঁচ লাখ টাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বলেন, ‘ওদেরকে এনে কিছু একটা দিয়ে দিলাম।’
আরো পড়ুন : ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল
জানা গেছে, আফতাব হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক নেতা। ভিডিও প্রসঙ্গে নিজাম উদ্দিন দাবি করেন, এটি সাত-আট মাস আগের ঘটনা এবং তাকে জোর করে এমনভাবে কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভিডিওটি যিনি করেছেন, তিনি শিগগিরই বক্তব্য দেবেন, তাতে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
অন্যদিকে আফতাব হোসেন রিফাত বলেন, বন্দর ইস্যুতে তাকে নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। তার দাবি, গত ৩০ মে জয় নামে একজন ২৫-৩০ জনকে নিয়ে তাকে মারধর করে এবং জোর করে ভিডিওটি তৈরি করানো হয়। তিনি বলেন, ‘নিজাম ভাইয়ের সঙ্গে আমরা সবসময় দুষ্টামি করি, তিনি ভেবেছিলেন, আমিও মজা করছি।’
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ‘বন্দর রক্ষা আন্দোলন’ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ইস্যুতে কাস্টমস মোড়ে মিছিল ও সমাবেশ করে। এছাড়া, ৫ জুলাই এক নারী পুলিশে অভিযোগ করেন, দুই কোটি টাকা না পেয়ে নিজাম উদ্দিন তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। সে সময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নগর শাখার সদস্যসচিব ছিলেন এবং অভিযোগের পর পদ স্থগিত হলেও পরে তা ফেরত পান।