সালথায় গাছের ছাল খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৬ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় মেহগনি গাছের ছাল খাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় মতিউর রহমান তারা (৫৫) নামের ব্যক্তি নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের যোগারদিয়া গ্রামে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে তাহমিনা বেগম (৫৩) ও তার ছেলে সজলকে (২২) নিয়ে বাড়ির পাশে সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবির বাড়ির সামনে সুপারি সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে তাদের বাগানের মেহগনি গাছের ছাল উঠানো দেখতে পেয়ে গালিগালাজ করে। এ সময় মতিউর রহমান তারা ও তার দুই ছেলে, লেলিন ও প্রিন্স এগিয়ে আসে। এ সময় দুই পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে তাহমিনা ও তারার পরিবারের সদস্যদের সাথে হাতাহাতি হয়।
ডাক চিৎকারে দুই পরিবারের আরও সদস্য এগিয়ে গেলে গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে মারামারি হয়। এ সময় মতিউর রহমান আহত হন। পরিবারের সদস্যরা তাকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের চাচাতো ভাই আজিজুর বলেন, মেহগনি গছের ছাল খাওয়া নিয়ে ওরা গালিগালাজ করে। এ সময় মতিউর রহমান তারার ছেলে গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞেস করলে, পাচু্র ছেলেরা ও ওহাবের ছেলেরা এবং মহিলাদের সাথে মতিউর রহমানের ছেলেদের সাথে মারামারি লাগে, তারা সেই মারামারি ঠেকাতে গেলে ওরা মারধর করে। এ সময় ওহাব আহত হন।
মৃত ওহাবের স্ত্রী তাহমিনা বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলে সজলকে নিয়ে সুপারি সংগ্রহ করতে তারাদের বাড়ির পাশে বাগানে যাই, সেখানে আমাদের মেহগনি গাছের ছাল গরু/ছাগলে খেয়ে ফেলছে এই জন্য আমার ছেলে গালিগালাজ করে, এ সময় তারার ছেলেরা আসে। এরপর তারা কোদাল নিয়ে আমার ছেলেকে মারতে গেছে, হুমকি-ধামকি দেয়, সে আগে থেকেই স্টোকের রোগী। তাই চিল্লাচিল্লি করার কারণে সে স্ট্রোক করে পড়ে যায়।
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদি বলেন, খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে, এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।