নোয়াখালীতে নামাজরত কিশোরীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৪, ০৪:১২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
নোয়াখালী সদর উপজেলায় ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্রের মুখে নামাজের জায়নামাজ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা বিলকিস আরা। কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় জেলার সদর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুল থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব বারাহিপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সেজান (১৮), ইউসুফের ছেলে শুভ (১৮), মাঈন উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৭) ও একই এলাকার শুভ (২০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় সেজান প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতো। কিন্তু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিতো সেজান। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন কিশোরী। এ সময় সেজান, শুভসহ ৪ থেকে ৫ জন মিলে তাদের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন: সভাপতির গরু জবাইয়ে দেরি: মার খেলেন ইমাম, হারালেন চাকরিও
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বিলকিস আরা বলেন, আমার মেয়েকে নামাজের জায়নামাজ থেকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এখনও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছি।
দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক ঘর থেকে কিশোরীকে অপহরণ করেছে স্থানীয় কিছু বখাটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।
সুধারাম মডেল থানার এসআই স্বপন দে জানান, অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অস্ত্রের মুখে অপহরণ হয়েছে কি না তা এখনও বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একাধিক দল ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে কাজ করছে।