রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি সাদেক খান এবং ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের আদালতে হাজির করে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মোহাম্মদপুর থানার শাহরিয়ার হোসেন রোকন হত্যাচেষ্টা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আতিকুল ইসলাম ও সাদেক খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে, মুগদা থানাধীন আইনজীবী আব্দুল বাছেত শামীম হত্যাচেষ্টা মামলায় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আরো পড়ুন : জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

মামলার নথি অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের ময়ূর ভিলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন আন্দোলনকারী শাহরিয়ার হোসেন রোকন। অভিযোগে বলা হয়, আসামিদের ছোড়া গুলি রোকনের বাম পায়ে বিদ্ধ হয় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে, গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল বাছেত শামীম আদালতের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে মুগদা থানাধীন বাবু ডাক্তারের গলিতে হামলার শিকার হন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেদিন আসামিদের ছোড়া রাবার বুলেট তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে লাগে। পরে শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে ২০ আগস্ট মুগদা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন শামীম। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর, গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি মুগদা থানায় শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন এই মামলার ২৫ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।