×

জাতীয়

আগে নিজ দেশের মানবাধিকার রক্ষা করা উচিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৭ পিএম

আগে নিজ দেশের মানবাধিকার রক্ষা করা উচিত
   
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের নিজ দেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষা আগে করা উচিত। নিজের দেশের মানুষের বাঁচাবে কি করে তাদেরকে সেই চিন্তা আগে করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাতীয় সংসদের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা, অগ্নি সন্ত্রাস সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশে মানবাধিকারের খোঁজে আসে অনেকে। আমার প্রশ্ন ২০০১ এর নির্বাচনে যখন বিএনপি-জামায়াত এইভাবে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, মেয়েদের ধর্ষণ করছে, শিশুরা রেহাই পাচ্ছে না তখন সেই মানবাধিকার ফেরিওয়ালারা কোথায় ছিলো। তারা কেন চুপ ছিলো? তাদের মুখে কোনো কথা ছিলো না কেন। সেটা দেশি-বিদেশী, আমি সকলের বেলায়ই বলবো। আর অনেকেই আসে আমাদের ছবক দেয়, মানবাধিকার শেখায়। মানবাদিকার বঞ্চিত তো আমরা, ‘১৫ আগস্ট আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না, হত্যাকারীদের ইনডেমিনিটি দেওয়া হয়েছে, বিচার হবে না। অপারেশন ক্লিনহাটে যাদের হত্যা করা হয়েছে তারাও বিচার চাইতে পারবে না। সেই অপরারেশন ক্লিনহার্টেও ইনডেমিনিট দেওয়া হয়েছে, যারা খুনিদের ইনডেমিনিটি দিয়ে রক্ষা করে আর তাদের কথা শুনে অনেক আন্তর্জাতিক সরকার, অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, আমাদের দেশের কিছু সংস্থা, তারা মানবাধিকাারের কথা বলে। আমরাই তো মানবাধিকারে বঞ্চিত ছিলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে ৩৫ বছর লেগেছে, তাও নিজেরা ক্ষমতায় এসে ইনডেমিনিটি বাতিল করে হত্যার বিচার করেছি। যুদ্ধারাধিদের বিচার করেছি, বিচারের রায় কার্যকর করেছি। আর সেখানে আজকে বাংলাদেশে মানবাধিকার নাই বলে তারা কি ২০০১ দেখে নাই, তারা ১৫ আগস্ট দেখিনি? ১৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত কি চলেছে। সেটা তারা দেখেনি, তখন তাদের চোখেও পড়েনি, কানেও শোনেনি কি কারণে আমার কাছে বোধগম্য না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে, আজকে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে যখন অত্যাচারিত, নির্যাতিত হচ্ছিল, গণহত্যার শিকার হচ্ছিল, আমরা তাদেরকে আশ্রয় দেই, প্রথম যখন আশ্রয় দেই তখন কে ছিলো, কেন এনিয়ে কথা বলে নি, প্রতিবাদ করে নি। আমরা শুধু আশ্রয় না, প্রথম কয়েক মাস তো আমরাই খাওয়াই। এই যে তাদের যে ৫টা বছর, পরবর্তীতে তাদেরকে অনেক দেশ অনেক সহযোগিতা করেছে কিন্তু যখন তারা আমাদের দেশে আসে তখন তো কোনো সাহায্যই আমরা পাইনি। আমরা মানবিক কারণে যখন এতোগুলি লোকের দায়িত্ব নিতে পারি এর থেকে মানবাধিকার সংরক্ষণ আর কি হতে পারে সেটাই আমার প্রশ্ন। যারা অন্য দেশের নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দেয়, আওয়ামী লীগ সরকার সেই আশ্রয় দিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে কেন। কিভাবে করবে, এ কথা বলে কিভাবে তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে তো বহু জায়গায় বহু মানুষ খুন হচ্ছে। আমেরিকায় তো প্রতিদিন গুলি করে করে শিশুদের হত্যা করছে স্কুলে যেয়ে, শপিং মলে হত্যা হচ্ছে, রাস্তায় হত্যা হচ্ছে, এমনকি আমাদের বাঙালি মেয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে তাকে ছিনতাই কাতে যেয়ে তাকে হত্যা করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ছেলের বাড়ি বেড়াতে গেছে মসজিদে নামাজ পড়ে ফিরে আসছে তাকে হত্যা করেছে, আমার আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুল তাকে হত্যা করেছে। আর প্রতিদিন তো তাদের প্রতিটি স্টেট, এক এক একটা স্টেটে দেখা যা্েচ্ছ গুলি করে করে মানুষ হত্যা করছে। ঘরের মধ্যে যেয়ে পরিবার সহ হত্যা করে আসছে। নিজের দেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষা আগে তাদের করা উচিত। তারা নিজের দেশের মানুষের বাঁচাবে কি করে সেই চিন্তা আগে করুক, সেটাই তাদের করা উচিত, যার যার দেশের। আজ ইউক্রেনে যুদ্ধে, এই যুদ্ধটা বাঁধিয়ে দিয়ে আজকে সেখানে হাজার হাজার নারী, পুরুষ তারা রিফিউজি, তারা কষ্ট পাচ্ছে। সিরিয়াতে কিভাবে গুলাগুলি এমনকি এখন প্যালেসটাইনে, ই্সরাইল সেদিনও একের পর এক বোমা হামলা পর্যন্ত করছে। এয়ার হামলা করছে, কত মানুষ হত্যা করছে সেটা নিয়ে কারো কথা নাই কেন। সেখানে কি মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে না। বাংলাদেশে যেমন মানুষ শান্তিতে আছে, হ্যা, জানি যেমন ইউক্রেন যুদ্ধ যার কারণে মুদ্রাস্ফিতি বেড়েছে। আমরা তা সামলে নেবার চেষ্টা করেছি। একটা মানুষও না খেয়ে মরে নি। বাজারে পর্যাপ্ত খাবার আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App