কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় যারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদেরকে কোনোভাবেই ঢাকা ছাড়তে দেয়া হবে না। সেই লক্ষ্য নিয়েই পরিকল্পনা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথা বলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলতে চাই; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন, এই সন্ত্রাসী চক্র বেছে বেছে সেগুলোতে হামলা করেছে। দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য তারা পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত নথিপত্র তারা পুড়িয়ে দিয়েছে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, এসব হামলার সঙ্গে জড়িতরা জামায়াত ও বিএনপির সমর্থক। এ চক্রকে ধরার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি। সন্ত্রাসীদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার জন্য ডিএমপি কাজ করছে। এই কাজ আরো বেগবান করা হবে। আমরা পরিকল্পনা করছি এই ধরনের সন্ত্রাসীরা যেন ঢাকা না ছাড়তে পারে। ঢাকার ভেতরে যারাই থাকুক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে ডিএমপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন : আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেপ্তারের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ২০০টি মামলায় দুই হাজার ১০০ জনের বেশি সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো কিছু মামলা দায়ের হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল ধ্বংস করার কাজে গ্রেপ্তার দুই হাজার ১০০ জনের মধ্যে প্রত্যেকের কন্ট্রিবিউশন ছিল বলে দাবি করেন ডিএমপির এই কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, গত দুই-তিন দিন যাবৎ সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়ে আছে। আমাদের কিন্তু ব্লকড রেইড চলমান রয়েছে। ব্লকড রেইড ছাড়াও ঢাকায় দিন-রাতে পুলিশের অপারেশন চলমান রয়েছে। সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক, কক্সবাজার কিংবা পঞ্চগড়ে পালিয়ে যাক, বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে পালিয়ে যাক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করব। যারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছে, তাদের এই কালো হাত আইনগতভাবে ভেঙে দেয়া।