নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চেয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে তারা একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন যার মধ্যে নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইসি কর্মকর্তারা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রার্থী/রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে বাধ্য করা। এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনের আগেই নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দল তথা প্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
তারা আরো জানান, প্রকৃতপক্ষে মাঠপর্যায়ে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হলে সার্বক্ষণিক নিবিড় তদারকি ও আইন ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি দেখভাল করার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি ভাঙার ঘটনা প্রত্যক্ষ করা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রতিহত করার জন্য তাকে আইনি ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
আরো পড়ুন: দুদক চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগ
কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিততে জনগণ মনে করেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। এ পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি দেয়া প্রয়োজন, যেন তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় তাৎক্ষণিক শাস্তির বিধান করতে পারেন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন।
প্রস্তাবনায় আরো জানানো হয়, নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করে আচরণবিধি তদারকিতে নিয়োজিত করা হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সহজ হবে। আরপিও প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি তদারকি করার জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে/চিফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেটকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে বলে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
