দুদকের নতুন চেয়ারম্যান কে এই ড. আবদুল মোমেন?

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সদ্য পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে। কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের স্মাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে জানানো হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫ নম্বর আইন)-এর ৬(১) ধারার বিধান অনুসারে তাদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো। এর মধ্যে দুদক আইন, ২০০৪-এর ৫(১) ধারার বিধানমতে ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হলো। নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের বেতন, ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের এবং কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদের বেতন, ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের অনুরূপ পাবেন।
নানা সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়া) সহকারী একান্ত সচিব ও পরিচালক, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক, কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিমানের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুগ্মসচিব থাকার সময় ২০০৯ সালে আবদুল মোমেনকে ওএসডি করে আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ২০১৩ সালের ৬ জুন তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
গত ২৯ অক্টোবর মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন কমিশনের পতন হয়। ওইদিন দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক ও কমিশনার আছিয়া খাতুন (অনুসন্ধান) পদত্যাগ করেন। ৩১ অক্টোবর তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।
গত ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের দুদক সংস্কার কমিটি গঠন করে সরকার। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি রেজাউল হককে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি ফারাহ মাহবুব,বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।