পেঁয়াজের দাম নিয়ে সুখবর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কমছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রকারভেদে দেশি-বিদেশি কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি ৫৫-৯০ টাকায় হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, তবে পাবনার স্পেশাল পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি, কেজি প্রতি ৮৫-৯০ টাকা। নতুন মুড়ি কাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। এছাড়া, বাজারে বড় রসুনের দাম কেজি প্রতি ২৪০-২৬০ টাকা। দাম কিছুটা বেশি হলেও নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি ও শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধায় সামগ্রিকভাবে বাজার পরিস্থিতি এখন ক্রেতাদের জন্য সহনীয়।
কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর অন্যান্য পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে কাস্টমস ডিউটি ও রেগুলেটরি শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে এনবিআর। শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
মালিবাগের ব্যবসায়ী মাহিম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে, পাশাপাশি দেশি নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এই কারণে পেঁয়াজের দাম ক্রমেই কমছে। শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে খুচরা ও পাইকারি বাজার উভয় ক্ষেত্রেই পেঁয়াজের দাম কমে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা জালাল জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে নতুন আলু প্রতি কেজি ৩৮-৪৫ টাকা এবং আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সালাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, নতুন আলু ও পেঁয়াজ বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসায় দাম কমছে। আগামী সপ্তাহে দাম হয়ত আরো কমবে। তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি এসেছে। আমি নিজেও একজন ক্রেতা হলেও কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেহেতু এখন পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হয়েছে, সরকারের নজরদারি প্রয়োজন। তবে দাম যাতে অতিরিক্তভাবে না কমে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত।
এমন পরিস্থিতি হলে আমদানি শুল্ক পুনরায় আরোপ করে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তা না হলে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। ব্যবসায়ী ও কৃষক উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করতে পেঁয়াজের বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এতে ক্রেতারা যেমন সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাবেন, তেমনি কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারবেন।