×

জাতীয়

অধ্যাদেশ জারি

মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারীরা পাচ্ছেন বিশেষ স্বীকৃতি

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:২৮ এএম

মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারীরা পাচ্ছেন বিশেষ স্বীকৃতি

প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা 'মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী' হিসেবে বিবেচিত হবেন। ছবি : সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়েছে। এই সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা 'মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী' হিসেবে বিবেচিত হবেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশের গেজেট জারি করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, এবং যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, তারাই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এছাড়াও, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এমন সব বেসামরিক নাগরিক, যাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে ছিল, তারাও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।

আরো পড়ুন : আজ থেকে চলবে ‘ঈদ স্পেশাল ট্রেন’

সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), পুলিশ বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্যরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এর বাইরে, হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত সব নারী বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফিল্ড হাসপাতালের সব ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা-সহকারীদেরও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে যেসব বাংলাদেশের নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেছেন, তারাই 'মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী' হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এই শ্রেণিতে কারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন তা-ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে গেজেটে বলা হয়েছে, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত এবং ওই সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স বা অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত সব এমএনএ বা এমপিএ যারা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলা-কুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে পুরো জাতি হতাশ : মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে পুরো জাতি হতাশ : মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

ত্যাগের মহিমার ঈদুল আজহা আজ

ত্যাগের মহিমার ঈদুল আজহা আজ

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত, মুসল্লিদের ঢল

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত, মুসল্লিদের ঢল

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App