গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে: সিপিবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স শহীদ নূর হোসেন ও শহীদ আমিনুল হুদা টিটোসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) সিপিবির দেয়া এক বিবৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান তারা।
এতে নেতারা বলেছেন, এবার আমরা একটা ভিন্ন পরিবেশে এই দিবস পালন করতে যাচ্ছি। গত জুলাই-আগস্টে হাজারো মানুষের আত্মদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করা হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা হলো গণতান্ত্রিক র্পূণ অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা। এই পথে চলা ও স্বৈরাচারের ভিত্তি উচ্ছেদ করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে এবার এই দিবস পালন করবে সিপিবি।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, যেই স্বপ্ন নিয়ে নূর হোসেন, সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটোসহ অসংখ্য মানুষ স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে আজ পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছি না: চরমোনাই পীর
উল্লেখ্য, বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বীর শহীদ নূর হোসেন জীবন্ত পোস্টার হয়ে আজও মানুষের হৃদয়ে আছে এবং আজোও প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে গণমানুষকে প্রেরণা জোগায়।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে উত্তাল আন্দোলনে স্বৈরাচারের বাহিনীর গুলিতে রাজধানী ঢাকার রাজপথে লুটিয়ে পড়েছিলেন নূর হোসেন। ওইদিন পুরানা পল্টন মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত অনেক শহীদের মধ্যে আরেক নাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে তিনি বাই-সাইকেল চালিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন গণ আন্দোলনে যোগ দিতে। তিনিও শহীদের মৃত্যবরণ করেন। তার লাশ পুলিশ গুম করে ফেলে।
এ সব শহীদের পথ ধরে জনগণের গণআন্দোলনে ১৯৯০ এর ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী সরকার পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়। ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।
শহীদ নূর হোসেন-টিটো দিবসে সিপিবির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে- রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টায় রাজধানীর শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে (জিরো পয়েন্ট) এবং পরে মুক্তিভবনের সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটোর প্রতিকৃতিতে দলের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং স্মৃতিচারণ করা।