মঈন খান
আওয়ামী লীগ পলায়নপর রাজনৈতিক শক্তি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম

বক্তৃতা দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ২৫ মার্চ যখন পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো তখন স্বাধীনতার শক্তি দাবিদার আওয়ামী লীগ জনগণকে বিপদে ফেলে ভারত পাড়ি দিয়েছিলেন। তখন দেশের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। শুধু তাই নয় সম্মুখ যুদ্ধও করেছিলেন শহীদ জিয়া।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে পলায়নপর রাজনৈতিক শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলার কোনো অধিকার আওয়ামী লীগের নেই। যেমনটা ৫ আগষ্টও ৭১-এর ২৫ মার্চের মত কাপুরুষের মত পালিয়ে গেছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মিরপুর শাহ আলী মাজারের সামনে জাতীয়তাবাদী বাউল দল আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ৭১-এর ইতিহাস, ৭ নভেম্বরের ইতিহাস, নব্বইয়ের ইতিহাস এবং জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। সূত্রটি হচ্ছে গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার। এটি চাওয়া কি জনগণের অপরাধ? গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য সে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো ৭২ থেকে ৭৫ সালে এই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করে দেশে একদলীয় বাকশালি শাসন কায়েম করেছিলো।
তিনি বলেন, আজ সত্যিকারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বিগত ১৬ বছর কোমলমতি শিশুদের আওয়ামী বাকশালি টেবলেট খাওয়ানো হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস পরিবর্তন করে মিথ্যা ইতিহাস পড়ানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজে লাগেনি। ৫ আগষ্ট নতুন প্রজন্মকে টিয়া পাখির মত শেখানো ইতিহাস উপড়ে ফেলে এই নতুন প্রজন্ম এবং ছাত্র-জনতা দেশে সত্যিকারের ইতিহাস উদিত করেছে।
আরো পড়ুন: বিএনপির ৩১ দফায় যা আছে
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ বিপদগামী করতে পারে নাই। তাই ৫ আগষ্ট দেশে সফল বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে অন্যায়কে সমর্থন করে না। অত্যাচার ও হামলা মামলা সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, বিগত ২০-২২ বছর যারা নতুন ভোটার হয়েছে তারা ভোট দিতে পারে নাই। সেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছে। বিএনপি বিশ্বাস করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরে যাবে এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তুহিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক এবং সদস্য সচিব মোস্তফা জামান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, রুপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহিন মাষ্টার, পল্লবী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, যুবদল রুপনগর থানার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাঈম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকদল রুপনগর থানা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল আলম টুটুল প্রমুখ।