×

খেলা

আক্ষেপ নিয়েই মার্তার বিদায়

Icon

শাজিয়া তাইয়্যেবা

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আক্ষেপ নিয়েই মার্তার বিদায়

ছবি: সংগৃহীত

   

ব্রাজিলের ছেলেরা অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণ জয়ের স্বাদ পেলেও মেয়েরা সে স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি। তবে সুযোগ ছিল সেই স্বপ্ন পূরণের। কিন্তু তা অধরাই থেকে গেছে। প্যারিসে ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরাজয়বরণ করেছে তারা। এতে করে মেয়েদের ফুটবলের ‘পেলে’ খ্যাত কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড মার্তাকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে অলিম্পিক থেকে।

প্রায় দেড় যুগ ধরে নারী ফুটবলের শীর্ষস্থানটা আঁকড়ে ধরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্তা ভিয়েরা দ্য সিলভা। ছয়বারের এই বর্ষসেরা ফুটবলারের আক্ষেপ ছিল দেশের হয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণ এবং বিশ্বকাপ না জেতার। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ভাগ্য তাকে এবারেও হতাশ করেছে।

২০০২ সালে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় মার্তার। এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে ১৭৬ ম্যাচ খেলে মার্তা গোল করেছেন ১১৬টি। ব্রাজিলের হয়ে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে খেললেও কখনো শিরোপা জেতা হয়নি তার। তবে ব্যক্তিগতভাবে ছয়বার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতেছেন মার্তা। এছাড়া নারী-পুরুষ মিলিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৭ গোলের রেকর্ডও আছে তার দখলে।

১০ আগস্ট রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে অলিম্পিক ফুটবলের স্বর্ণ জেতার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের মেয়েরা। এই ম্যাচে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারতে হয়েছে সেলেসাওদের। সেই সঙ্গে অলিম্পিকে স্বর্ণ জেতাও অধরাই থেকে গেল মার্তার। আর এই অপূর্ণতা নিয়েই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মেয়েদের ফুটবলের এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। সবশেষ বিশ্বকাপের পর দুই-এক বছরের মধ্যে মেয়েদের ফুটবলে আর বড় কোনো টুর্নামেন্ট নেই।

অন্যদিকে মার্তার বয়সটাও রয়েছে ৩৮ এর কোটায়। তাই অলিম্পিক দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের কথা জানিয়েছিলেন মার্তা। তার ক্যারিয়ার ব্যক্তিগত সাফল্য ও রেকর্ডে টইটম্বুর হলেও শেষটা হলো অলিম্পিকে রানার্স আপ হয়ে। আগের দুই ম্যাচ বেঞ্চে বসে দেখা পর, নিজের শেষ ম্যাচেও ছিলেন না শুরুর একাদশে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে কয়েকবার কারিকুরি দেখিয়েছেন মার্তা। তবে সেগুলো গোলে পরিণত করতে পারেননি তিনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় নক আউটের আগের দুই ম্যাচে ছিলেন না মার্তা। ফাইনালে বদলি নামার পর নেতৃত্বের আর্মব্যান্ডও পরিয়ে দেয়া হয় তাকে।

ম্যাচ শেষে তার জন্য বরাদ্দ ছিল বড় অভিবাদন। রুপার পদকের জন্য যখন একে একে সবার নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল, মার্তার নাম উচ্চারিত হতেই দর্শকদের উল্লাসে গোটা স্টেডিয়াম যেন কেঁপে ওঠে। যা প্রমাণ করে দলীয় সাফল্যই সব নয়, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, আবেদন ও নামের ভার কোনো অংশে কম নয়!

বিদায়বেলায় অতীতের স্মৃতি স্মরণ করে মার্তা বলেন, যখন ২০০৪, ২০০৮ সালে রৌপ্যপদক পাই, আমি এখনকার মতো এতটা গর্ববোধ করিনি। কারণ, আরো একটি অলিম্পিক ফাইনালে খেলতে ১৬ বছরের অপেক্ষা করতে হয়েছে। যা ব্রাজিলের কেউ বিশ্বাসও করেনি।

‘এই পদক সেই গর্ব ফিরিয়ে এনেছে, দেখিয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে জানে, প্রতিভা আছে এবং তার যথাযথ মূল্যায়ন দরকার।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App