রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরেই সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ু। এর প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা ‘ভারী বৃষ্টি’ হিসেবে চিহ্নিত।

বুধবার (৯ জুলাই) দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকায় দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা আগের দিনের মতোই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বুধবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরো পড়ুন : ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র, চালু কন্ট্রোল রুম

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং রংপুর বিভাগে অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

বুধবার সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫–৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টিপাত শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ১-১০ মিলিমিটার বৃষ্টিকে হালকা, ১১-২২ মাঝারি, ২৩-৪৩ মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪-৮৮ ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিকে অতি ভারী বৃষ্টি বলা হয়। এই হিসাবে ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টার ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি ‘ভারী বৃষ্টি’ হিসেবে চিহ্নিত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিস্তৃত রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এই কারণে বৃষ্টি প্রবণতা বাড়ছে এবং স্থায়ীভাবে বৃষ্টিপাত চলতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিশেষ করে নদীপথ ব্যবহারকারীদের নদীবন্দরের সতর্ক সংকেত অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।