রাস্তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখলে পিটিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশনা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাস্তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখলে পিটিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন কুষ্টিয়ার এক যুবদল নেতা। ওই বক্তব্যের ভিডিও তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিও দেখা গেছে।
তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানের ভাগনে রফিকুল ইসলাম। মিরপুর শহরে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
১ মিনিট ২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যদি কখনো কোনো আওয়ামী লীগকে দেখেন, রাস্তায় পিটিয়ে মারবেন। ওই...বাচ্চারা আমাদের রাস্তায় বের হতে দেয়নি, বাজারে যেতে দেয়নি। আমাদের বাজার পর্যন্ত করতে দেয়নি। এত জঘন্য রাজনীতি করে তারা।’
রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কাউকে তিনজন একসঙ্গে বসতে দেয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের নামে গায়েবি ও নাশকতার মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা সবাই অনেক কষ্ট করেছি। তাই আপনাদের অনুরোধ করে বলব, আপনারা দলের ভেতরে কোনো গ্রুপিং করবেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করবেন।’
আরো পড়ুন: ড. ইউনূসকে পাওনা বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিঠি দিলেন গৌতম আদানি
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার রাতে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের নিমতলা বাজারে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম। ওই বক্তব্যের ভিডিও তার ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। তিনি যখন বক্তব্য দেন, তখন তার সামনে দলের নেতাকর্মীরা বসে ছিলেন। এ সময় অনেকে হাততালি দেন।
ওই বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫–১৬ বছর আমরা যে পরিমাণ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি, তা ভাষায় বলা যায় না। আমার বিরুদ্ধে ১৫–১৬টা মামলা হয়েছে। বাড়িতে ঘুমাতে দেয়নি। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসতে দেয়নি। নির্যাতনের শেষ নেই। সেই কষ্টের জায়গা থেকে আবেগে এ কথা (পিটিয়ে মারা) বলেছি। আবার এইটুকু না বললেও হয় না, বলতে হয়। নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে গেলে বলতে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘বিএনপি এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে না। আমাদের এমন কোনো নির্দেশনাও নেই।’