মাদকসেবনের দৃশ্য ধারণে লাঞ্ছিত সাংবাদিক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২০, ০৩:৩৮ পিএম

ছবি: প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান মৃদুলের অফিসকক্ষে মাদকসেবনের দৃশ্য ধারণ করায় লাঞ্ছিত করা হয়েছে দুই টিভি সাংবাদিককে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকাল ৫টার দিকে মৃদুলের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবহিত করে পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভুগী সাংবাদিকরা।
লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকরা হলেন, শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি, এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান পারভেজ এবং যুগ্ম সম্পাদক ও গাজি টিভির প্রতিনিধি মো. মানিক মোল্লা। এ ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মামলা করার জন্য অভিযোগ করা হয়েছে থানায়।
সাংবাদিক রোকনুজ্জামান পারভেজ বলেন, শরীয়তপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি নির্মাণাধীন কাজের বিবরণ চেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান মৃদুলের ফোন দেয়া হয়। এরপর তিনি অফিসে রয়েছে বলে বিকাল ৪টার দিকে সাংবাদিক মানিক মোল্লাকে ফোন দেন। ৫টার দিকে শরীয়তপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয়ে যাই। দুইতলায় উঠে নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস কক্ষে ঢুকেই সিগারেট খেতে দেখি। পরে ভিতরেই গাঁজার গন্ধ পাই। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা গাজী টিভির সাংবাদিক মানিক মোল্লা ওই মাদক সেবনের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করার চেষ্টা করে।
তখন নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান মৃদুলের উত্তেজিত হয়ে আমাদের মারপিট করার চেষ্টা করে এবং নিচের গেইট আটকে দেন। ওই সময় ঘটনাটি জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানানোর চেষ্টা করি। কিছু সময় পর মোবাইল ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যান।
শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান খান বলেন, একজন মাদকাশক্ত কর্মকর্তা কক্ষে বসে মাদক সেবন করে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা দুঃখজনক। আমার ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শরীয়তপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান মৃদুল বলেন, দুই সাংবাদিকের সঙ্গে আমার ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তাদের সঙ্গে আচরণটা সঠিক হয়নি। তবে মাদক সেবনের অভিযোগ সঠিক নয়।