কুড়িগ্রামে বন্যা: পানির নিচে ফসলি জমি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১২:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ১৩২০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে পাট, আউশ ধান, চিনা, কাউন, আমনের বীজতলা, বাদামসহ বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি। পানি দ্রুত নেমে না গেলে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় দ্রুত কমছে নদ-নদীর পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চলতি বন্যায় জেলায় ১৩২০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যা শেষে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হবে।
শনিবার (২২ জুন) সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি কমে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরো পড়ুন : গাইবান্ধায় নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পানি কমলেও নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পানি এখনো নামেনি। এসব এলাকার বাড়ির পাশ দিয়ে পানি অবস্থান করছে। ফলে এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তারা নৌকা এবং ভেলা দিয়ে যোগযোগ করছে। এসব চরাঞ্চলের ফসল এক সপ্তাহ থেকে ডুবে রয়েছে। ফলে এসব ফসলের নষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানিতে পাট এবং সবজিসহ আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। বিশেষ করে আমনের বীজতলা নষ্ট হলে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়বেন তারা। নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের বাড়িতে পানি উঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, সব নদ-নদীর পানি কমছে। দু-এক দিনের মধ্যে পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১৪৪ টন জিআর চাল ও নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলো বন্যাকবলিতদের মাঝে বিতরণ শুরু হয়েছে।